একটি খোলা পৃথিবী

পৃথিবী খোলা মনের কাছেই ধরা দেয়

স্বপ্ন মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। যার স্বপ্ন যত বড়, তার কাছে পৃথিবীর বড়ত্ব ততটাই।
বড় পৃথিবীকে দেখতে হলে নিজের স্বপ্নকে বড় করতে হয়। চিন্তায় শান দিতে হয়।
এর জন্য প্রয়োজন খোলা মন। পৃথিবী খোলা মনের কাছেই ধরা দেয়।
এমনটাই বিশ্বাস করেন মশিউর রহমান কায়েস। তিনি একজন নির্মাতা, ট্রাভেলাইফ এর জন্য নির্মাণ করেছেন বেশ কয়েকটি তথ্যগল্প।

তরুণ এই নির্মাতা মানুষের জীবন, স্বপ্ন ও ভ্রমণ নিয়ে কাজ করছেন। তার নির্মিত তথ্যগল্পগুলোর গল্প তৈরি করেছেন শাহ মুহাম্মদ মোশাহিদ। প্রযোজনা করেছেন আহসান সজিব।

mime art on freedom and travel
জটিলতা ভাঙার চেষ্টা করছেন মূকাভিনেতা। ছবি : ট্রাভেলাইফ

গল্পগুলো বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ হচ্ছে ট্রাভেলাইফ বাংলা এবং ট্রাভেলাইফ এর ইউটিউব চ্যানেলে।

ট্রাভেলাইফ এর আজকের প্রতিবেদন চ্যানেলের প্রথম গল্প নিয়ে। এটি একটি মূকাভিনয়। অভিনয় করেছেন মূকাভিনেতা রিফাত ইসলাম।

তার অভিনয়ে প্রকাশ পেয়েছে ট্রাভেলাইফ এর থিম। ভিডিওর শুরুতে একটি জটিল জীবন থেকে মূকাভিনেতাকে বেরিয়ে আসতে দেখা গেছে। পরে তার চোখের সামনে ধরা দিয়েছে খোলা পৃথিবী।

রিফাত ইসলাম বলেন, ‌’আমি মূকাভিনয় করি। তবে ভ্রমণ নিয়ে মূকাভিনয় এটিই প্রথম। কেবল ভ্রমণ নয়, এই গল্প গোটা জীবনের। গল্পটা মানুষের চিন্তা বদলে দেওয়ার মতো।’

mime artist to freedom and nature
ট্রাভেলাইফ এর এই পর্বে মূকাভিনয় করেছেন রিফাত ইসলাম। ছবি : ট্রাভেলাইফ

‌’একটি খোলা পৃথিবী’ শিরোনামে এই থিম গল্পের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করেছে ট্রাভেলাইফ। এর পর আসবে আরো বেশ কিছু গল্প। প্রথম মৌসুমের কাজ শেষ হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে দ্বিতীয় মৌসুমের চিত্রধারণ।

প্রথম মৌসুমের চিত্র নেওয়া হয়েছে গারো পাহাড়ের পাদদেশ থেকে, নেত্রকোনার লেংগুরা গ্রামে।

চিত্র ধারণ করেছেন আনন্দ সরকার। তিনি বললেন, ‌”আমি কতটা ভালো কাজ করতে পেরেছি জানি না, তবে চেষ্টা করেছি। কাজটা ছিলো আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং। অধিকাংশ চিত্র ‌’এক টেক’-এ নিতে হয়েছে। আমাদের হাতে সময় ছিলো কম, কাজ বেশি। গোটা দলকে ঘুম-খাওয়া বাদ দিয়ে খাটতে হয়েছে।”

সম্পাদনার কাজ করেছেন মাহবুবুল ইসলাম শাওন। তিনি বললেন, ‌’যতদিন প্যানেলে বসে কাজ করেছি, এর গল্পের ভেতর ডুবে ছিলাম। গল্পগুলো ভিন্ন। অন্য আট-দশটা গল্পের মতো নয়। কিম্বা ট্রাভেল ভ্লগের মতোও নয়। আমার বিশ্বাস, এগুলো দর্শকের চিন্তায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। অন্যরকম একটা ঘোর তৈরি করবে।’

চিত্র ধারণে সহপরিচালকের কাজ করেছেন শাহ্ শান্ত। মূকাভিনয়ের কোরিওগ্রাফি করেছেন অভিনেতা রিফাত ইসলাম নিজেই। প্রোডাকশন ম্যানেজ করেছেন বিপুল মেহেদী। ক্যামেরা ও যন্ত্রের সঙ্গে ছিলেন জয়, রুবেল, নূরনবী ও শরিফ সিনহা।

ইংরেজিতে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here