তারিখ : ২৮ ও ২৯ জুলাই ২০২৩
ডিউরেশন : দুই দিন এক রাত
লোকেশন : কিশোরগঞ্জের নিকলী, ছাতিরচর, মিঠামইন ও চুল্লী এলাকার হাওর
মূল্য : ২৫০০ টাকা

Contact WhatsApp +8801919110389

হাওরে পানি আসতে থাকে বৈশাখের সাথে সাথেই। এবার এসেছে দেরি করে, আষাঢ়ের শুরুতে। বৃষ্টি আর ঢলে পাহাড় থেকে নেমে এসেছে ভাসা পানি। ‘আষাঢ় মাইস্যা ভাসা পানি’তে এখন খলবল করছে দখিনা বাতাস। বাদাম তুলে দিয়েছে কোষা নাও। ইঞ্জিনের নাওগুলো ভেসে যাচ্ছে রুপালি পানি কেটে।
খোলা হাওরে গ্রামগুলো দেখার মতো, রুপালি পানির জমিনে ভেসে আছে সবুজ হয়ে। হাওরে যখন আফাল নামে, গ্রামের সবুজ দুলতে থাকে। দাপট দেখাতে শুরু করে হাওরজল। আকাশ ঢেকে যায় কালো মেঘে। কালো হয়ে আসে পানি।
রুপালি পানির জমিনে সবুজ
রুপালি পানির জমিনে সবুজ
আফাল কখনো কখনো হাওরকে তছনছ করে দেয়। নৌকাডুবির ঘটনাও ঘটে।
ট্র্যাভেলাইফ টিম হাওরে যাবে ২8 জুলাই, শুক্রবার। ওইদিন আফাল থাকবে কি না, আগে থেকে বলা যাচ্ছে না। তবে খোলা হাওরে খ্যাপা বাতাস প্রায় সময়ই থাকে। কখনো কখনো চুপ মেরে থাকে হাওর, ‘অ্যানশিয়েন্ট মেরিনার’ এর সেই গ্ল্যাসি সি’র মতো। সাগরে অ্যালবাট্রস পাখির দেখা পাওয়া যায়। হাওরে পাবেন শিকারি পাখি চিলের ওড়াউড়ি। পানকৌড়ির ডুব। আর ডলফিনের মতো দেখতে গাঙ্গের শুশুক। ধনু গাঙ্গের ঢেউয়ের ভাঁজে শুশুকগুলো ভেসে-ডুবে পানি সেলাই করে!

ট্র্যাভেলাইফ টিম দুইটা দিন কাটাবে সেলাই করা পানিতে। আপনিও হতে পারেন এই টিমের একজন।
ইচ্ছে থাকলে, ২৮ জুলাই (শুক্রবার) ভোরে রওনা দিয়ে চলে আসুন কিশোরগঞ্জ শহরে। আমরা আপনাকে পিক করে নেবো। দুপুরের দিকে তুলে নেবো নৌকায়।
তারপর?
তারপর কি হবে কোনোটাই ঠিক করা নেই। পরের চব্বিশ ঘণ্টা ট্র্যাভেলাইফ টিম থাকবে হাওরজলেই। ঘুম, নাওয়া, খাওয়া সবকিছু-ই নৌকা অথবা ডাঙায়।

না, নৌকায় ঘুমুনোর জন্য বিলাসবহুল ব্যবস্থা নেই। খাওয়ার আয়োজনেও থাকবে না গুরুপাক। তবে ভরপেট খেতে পাবেন, এটা নিশ্চিত। রেসিপিতে থাকতে পারে খাওয়ার উপযোগি যে কোনোকিছু। রেসিপিতে যা-ই থাকুক ভরপেট খাওয়ার পর ঘুম চলে আসতে পারে আপনার। সাথে থাকা ব্যাকপ্যাক মাথার নিচে দিয়ে নৌকার চালায় অথবা ভেতরে ঘুমিয়ে নিতে পারবেন। সঙ্গে তাঁবু নিয়ে এলে ডাঙায় পেতে রাতের ঘুমটা নিজের মতো করে উপভোগ করতে পারবেন। ইচ্ছে হলে জেগেও থাকতে পারেন। দেখতে পারেন হাওরের বৈচিত্র, খোলা আকাশ।
সময় সময়ে ট্র্যাভেলাইফের নৌকা ঘাটে ভিড়বে। তখন টয়লেটসহ জরুরি কাজগুলো সেরে নিতে হবে। আর যেখানেই রাত হবে, সেখানেই কাত হওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে আপনার।
কোথায় কোথায় যাবো
ট্র্যাভেলাইফ টিম কিশোরগঞ্জ শহর থেকে রওনা হয়ে মরিচখালি ঘাটে যাবে। ওখান থেকে নৌকায় করে হাওরে ভাসবে। তারপর হাওরের বাতাস যেদিকে যায়, নৌকাও যাবে সেদিকে। তবে নিকলী হাওর, ছাতিরচর গ্রাম আর মিঠামইন যাওয়ার প্রবণতা থাকবে। ঘুরে দেখা হবে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়ি। সেইসাথে ট্র্যাভেলাইফ টিম যেতে পারে ‘চুল্লী’ গ্রামে। ওখানে ট্র্যাভেলাইফের নিজস্ব হোমস্টে তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। আগেভাগেই দেখে আসতে পারেন নিভৃত গ্রামটি।
তাহলে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলুন, যাবেন কি যাবেন না।
যদি যেতে চান
মাথায় রাখবেন, আপনাকে নিজ দায়িত্বে কিশোরগঞ্জ আসতে হবে। কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন থেকে আপনাকে পিক করা হবে। যারা বাসে আসবেন, তাদেরকে নিজ দায়িত্বে কিশোরগঞ্জ শহরের একরামপুর রেলগেটে থাকতে হবে বেলা সাড়ে এগারটার আগে।

ট্রেনে আসবেন যারা
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ভোর ০৭:১৫ তে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে আসে এগারসিন্ধুর প্রভাতি। ট্রেনটি কিশোরগঞ্জ এসে পৌঁছায় সাড়ে এগারটার দিকে। শোভন টিকেটের দাম ১২৫ টাকা। শোভন চেয়ারের ভাড়া ১৫০ টাকা। প্রথম শ্রেণি সিট- ২৩০ টাকা। প্রথম শ্রেণি চেয়ার ২৩০ টাকা। আগেভাগেই টিকেট কেটে রাখা ভালো।
অগ্রিম টিকেট কাটার সুযোগ না হলে যাত্রার আগে প্ল্যাটফর্মে গিয়ে স্ট্যান্ডিং টিকেট কেটে নিতে পারেন। ট্রেনে উঠার পর দায়িত্বরতদের অনুরোধ করে বসার সুযোগ পেয়ে যেতে পারেন।
২৯ জুলাই, শনিবার ফেরার সময় কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন থেকে দুপুর ১২:৫০ এ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে এগারসিন্ধুর গোধূলী। ট্রেনে যেতে চাইলে সময়ের আগেই ট্র্যাভেলাইফ আপনাকে স্টেশনে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করবে। তবে ফেরার সময় বাসে ফেরার প্রস্তুতি রাখলে ভালো হয়। তাহলে আরো একটু বেশি সময় হাওরজলে কাটানোর সুযোগ পাওয়া যাবে। কিশোরগঞ্জের গাইটাল বাসস্ট্যান্ড থেকে সন্ধ্যার আগে ঢাকার উদ্দেশে শেষ বাস ছেড়ে যায়। যদি কোনো কারণে শেষ বাসটিও মিস করতে ইচ্ছে করে, তাহলেও দুশ্চিন্তার কিছু নেই। কিশোরগঞ্জ থেকে সিএনজিতে করে ভৈরব যাওয়া যাবে। ওখান থেকে ঢাকাগামী বাস পাওয়া যাবে সারারাত।
বাসে আসবেন যারা
রাজধানী থেকে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশে ‘যাতায়াত প্রাইভেট লিমিটেড’ ও ‘অনন্যা পরিবহন’ বাস ছেড়ে আসে গোলাপবাগ, গুলিস্তান ও মহাখালী থেকে। বেলা সাড়ে এগারটার মধ্যে কিশোরগঞ্জ পৌঁছতে হলে ভোর সাতটার আগেই বাসে রওনা হয়ে যাওয়া ভালো।
গোলাপবাগ ও গুলিস্তানে ‘যাতায়াত’ নামে নকল কিছু বাস যাত্রীদের বিভ্রান্ত করে থাকে। এ ক্ষেত্রে ‘যাতায়াত প্রাইভেট লিমিটেড’-এর কাউন্টার নিশ্চিত হয়ে টিকেট কেটে নিতে হবে। টিকেটের মূল্য ৩৫০ টাকা।
কিশোরগঞ্জ শহরে গাইটাল বাসস্ট্যান্ডে নামতে হবে আপনাকে। ওখান থেকে অটো রিকশায় করে আসতে হবে একরামপুর রেলগেটে। ভাড়া নেবে ১০ টাকা।
ব্যক্তিগত গাড়িতে করে আসবেন যারা
ব্যক্তিগত গাড়িতে করে আসতে চাইলে আগে থেকেই ট্র্যাভেলাইফকে অবহিত করতে হবে। ট্র্যাভেলাইফ আপনার গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করবে।
এছাড়া যারা গাড়ি ভাড়া করে আসতে চান, তাদেরকেও যোগাযোগ করতে হবে। প্রয়োজনে গাড়ি ভাড়া করতে সহযোগিতা করবে ট্র্যাভেলাইফ।

বুক করবেন যেভাবে
ট্রিপ বুক করতে আপনাকে দিতে হবে ২৫০০/-।
অন্তত ১০০০/- অগ্রিম দিতে হবে। বাকিটা ট্রিপ শুরুর আগে নগদ দিতে হবে।
পে করবেন যেভাবে
বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টে পেমেন্ট করতে পারেন ০১৯১৯১১০৩৮৯ নাম্বারে। এর জন্য আপনার থেকে আলাদা কোনো চার্জ কাটা হবে না।
ট্র্যাভেলাইফের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পে করতে পারেন। ০১৯১৯১১০৩৮৯ নাম্বারে ফোন করে ব্যাংক ডিটেইলস নিয়ে নিতে হবে।
পে করার আগে
ইভেন্টের পুরো বর্ণনা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে নিন। তারপর বুক করুন।
খেয়াল করুন
* এটি একটি অ্যাডাপট্যাশন ট্যুর। হাওরের পরিবেশ, সমাজ, সংস্কৃতি ও যে কোনো পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।
* ভ্রমণে গিয়ে পরিবেশদূষণ ও শব্দদূষণ করা যাবে না।
* ঘুমের জন্য বিলাসবহুল হোটেল থাকবে না। এমনকি আলাদা কোনো ব্যবস্থাও থাকবে না। নৌকার ভেতরে ঘুমিয়ে নিতে হবে। বালিশ হিসেবে নিজের ব্যাকপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। অথবা সঙ্গে করে তাঁবু নিয়ে এলে ডাঙায় তাঁবু পেতে ঘুমুতে পারেন।
* খাওয়ার ব্যবস্থা সাধারণ, তবে ভরপেট। সকাল-দুপুর-রাতের খাবার ছাড়াও কয়েকবার দেশিয় ফল ও শুকনো খাবারের ব্যবস্থা থাকতে পারে।
* গোসল ও অন্যান্য দরকারে পোশাকের অতিরিক্ত সেট সাথে নিতে হবে।
* সাঁতার না জানলে অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট নিয়ে আসতে হবে।
* ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ আসা ও যাওয়া নিজ দায়িত্বে করতে হবে। প্রয়োজন হলে ট্র্যাভেলাইফের পরামর্শ ও সহযোগিতা নেওয়া যাবে।
* অনিবার্য কারণে ইভেন্ট ক্যান্সেল হতে পারে। এক্ষেত্রে বুকিং মানি ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে।

Contact WhatsApp +8801919110389

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here