কিশোরগঞ্জের হাওর দেখতে যারা আসবেন তারা আমাদের এই ভিডিওতে চোখ রাখতে পারেন। সবাই যে পথ ধরে হাওর দেখে, আমাদের পথটা একটু ভিন্ন।
কিশোরগঞ্জ জেলায় হাওরের হটস্পট নিকলী। ছুটির দিনগুলোতে এখানে পর্যটকদের ব্যাপক চাপ থাকে। নিকলী বেড়িবাঁধ থেকে অনেকেই যান ছাতিরচড়। ওখানকার করচবন দেখার পর হাওর ভ্রমণ সাঙ্গ করে ফিরে যান তারা। নিকলী বেড়িবাঁধে হয়রানির মুখেও পড়তে হয় অনেককে।
যারা নিকলী হাওর দেখতে আসবেন বলে ঠিক করেছেন তারা আমাদের সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারেন।
আমরা যেভাবে হাওর দেখবো, যে পথ ধরে যাব সেটা আপনাদের খারাপ লাগবে না।
আর হ্যাঁ আপনাকে মাথায় রাখতে হবে. এই চিত্রগুলো ধারণ করা হয়েছে মোবাইল ফোনের দুর্বল ক্যামেরা দিয়ে।
আমরা এতক্ষনে চলে এসেছি হাওর গ্রাম চুল্লীতে। এই গ্রামে আসতে হলে কিশোরগঞ্জ শহরের একরামপুর থেকে অটোরিকশায় করে মরিচখালি বাজারে আসতে হবে। ওখান থেকে নৌকায় করে একটু দূর ভেসে গেলেই চুল্লী।
চুল্লী থেকে নিকলী খুব কাছে।
আমরা যখন যাত্রা করেছি, তখন হাওরের পানি অনেকটাই কমে গেছে। এতে ঘুরপথে যেতে হয়েছে।
পথের ছবিগুলো দেখতে থাকুন।
এরমধ্যে নিকলী বেড়িবাঁধ পেরিয়ে এসেছি আমরা। ওখানে দুপুরের খাবার খেয়েছি। খাওয়া শেষে ইঞ্জিন স্টার্ট দিয়ে রওনা দিয়েছি ছাতিরচরের দিকে। বেড়িবাঁধের কোলাহল ধারণ করতে ভুলে গিয়েছিলাম।
নিকলী বেড়িবাঁধ ও দ্বীপের মতো গ্রাম ছাতিরচর নিয়ে ট্র্যাভেলাইফের আলাদা প্রতিবেদন আছে, সুযোগ হলে দেখে নিতে পারেন।
ছাতিরচরের করচবন থেকে এবার ফিরতে হবে চুল্লী গ্রামে।
সন্ধ্যা নামছে। সেইসাথে উত্তাল হয়ে উঠছে হাওর। কিন্তু নৌকার ইঞ্জিন স্টার্ট হচ্ছে না। আমরা ভেসে যাচ্ছি স্রোতের মতো করে।
অবশেষে আমরা কি ফিরতে পেরেছিলাম?
একটি উত্তাল অ্যাডভেঞ্চার মোকাবেলা করে ফিরতে পেরেছি বলেই এই ভ্লগটা বানাতে পেরেছি।
চিত্র
আনন্দ সরকার
কন্ঠ
মশিউর কায়েস
গল্প
শাহ মুহাম্মদ মোশাহিদ
লোকেশন
চুল্লী, জালালপুর, মজলিশপুর, দামপাড়া, নিকলী, ছাতিরচর
কিশোরগঞ্জ