পাগলা মসজিদের সিন্দুকে কোটি কোটি টাকা, সোনা-দানা, মনি-মানিক

পাগলা মসজিদের সিন্দুক

সিন্দুক খোলা হয় তিনমাস পরপর। প্রতিবার পাওয়া যায় কয়েক কোটি টাকা। সাথে সোনা-দানা, মনি-মানিক্। এই প্রতিবেদন তৈরি করার আগে সর্বশেষ এই রত্নভান্ডার থেকে পাওয়া গিয়েছিলো পাঁচ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা। সঙ্গে বিপুল রত্ন।। রূপকথার মতো এতো রত্নভান্ডার জমা হয় মানুষের দান থেকে।

সিন্দুকটি কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের। এই মসজিদের পেছনেও আছে রূপকথার মতো একটি গল্প।
কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা নদী একটা সময় খরস্রোতা ছিলো। মসজিদটি যেখানে দেখা যাচ্ছে, সেখানে ছিলো নদীর মধ্যস্রোত। কিংবদন্তি রয়েছে, হঠাৎ একদিন নদীর জল থেকে এই মসজিদটি জেগে উঠতে দেখা গিয়েছিলো। স্থানীয়দের ধারণা এর পেছনে রয়েছে কোনো এক পাগলের কারামতি।

এরপর থেকে এখানে মানত করতে শুরু করেন অনেকে। পাগলা মসজিদে দান করে কিছু চাইলে বিমুখ হতে হয় না, এমন একটি বিশ্বাস রয়েছে মানতকারীদের। এই বিশ্বাস নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসে পাগলা মসজিদে। কেবল মুসলমান নয়, হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী অনেককেও পাগলা মসজিদে দান করতে দেখা যায়। দানের বাকসো যখন খোলা হয় তখন দুইশ লোককে সার ধরে বসে যেতে হয় টাকা গুনতে। টাকার বস্তাগুলো একে একে ঢেলে দেওয়া হয় তাদের সামনে।

দানের টাকায় দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে মসজিদের জৌলুশ।

মসজিদের বিপুল সম্পদ ব্যবস্থাপনায় জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে ২৯ সদস্যের একটি কমিটি রয়েছে। ওই কমিটির সিদ্ধান্তে দানের টাকাপয়সা মসজিদের উন্নয়নসহ বিভিন্ন সমাজসেবার কাজ ও মানবতার সেবায় ব্যবহার হয়। বর্তমানে টাকা জমানো হচ্ছে বলে ট্র্যাভেলাইফকে জানিয়েছেন মসজিদ কমিটি। এই টাকা দিয়ে আন্তর্জাতিক মানের একটি দৃষ্টিনন্দন ইসলামি কমপ্লেক্স বানানোর ইচ্ছা রয়েছে তাদের। প্রকল্পটির খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১১৫ কোটি টাকা। এটি বানানো হলে মসজিদটিতে ৬০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন বলে জানিয়েছেনা মসজিদের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here