সেরেনজিং এখন বড় হয়েছে। থাকে নোরেং মাসির বাড়িতেই। যখন ছোট ছিলো, কোথায় থাকতো তখন?
সেরেনজিং-ই বা কে?
পরিচয় জানা না থাকলে পাহাড়ি পালা সেরেনজিং পড়ে নিন। আর যারা জানেন, সঙ্গে থাকুন।
হ্যাঁ, সেরেনজিং নোরেং মাসির বাড়িতেই আছে। নোরেং মাসি দয়া করে তাকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। তাই বলে বসিয়ে বসিয়ে খাওয়াচ্ছেন না। তিনি সেরেনজিংকে দিয়ে কঠোর শ্রমের কাজ করান। দিন যাচ্ছে, আর নোরেং মাসি আরো কঠোর হচ্ছেন। তিনি কঠোর হচ্ছেন ওয়ালজানের ওপরও।
কে এই ওয়ালজান?
ওয়ালজানের সত্যি পরিচয় প্রথমে সেরেনজিংও জানতো না। আগে জানতো ওয়ালজান নোরেং মাসির ছেলে। সেই হিসেবে তার ভাই হয়। গারো সমাজে মায়ের বংশের কোনো ছেলের সঙ্গে মায়ের বংশের মেয়ের মনের সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেওয়া হয় না। সে কারণে ওয়ালজানকে ভালো লাগলেও সেরেনজিং কখনো মুখ ফুটে বলেনি।
নোরেং মাসি দিন দিন কঠোর হচ্ছেন। সেরেনজিং আর ওয়ালজানও দিনদিন কাছাকাছি হচ্ছে। নোরেং মাসিই এদেরকে একসঙ্গে পাঠাচ্ছেন জুম চাষে।
ওয়ালজান সেরেনজিংকে চুম্বকের মতো টানে। সেরেনজিংয়ের স্পর্শ পেলে ওয়ালজানের গায়ে শিহরণ উঠে। কি ঘটছে, ভেবে পায় না ওয়ালজান। আর সেরেনজিং ভাবে, এই পুরুষ যদি তার ভাই না হতো!
একদিন ওয়ালজান সেরেনজিংকে জানায়, সে তার ভাই নয়। সেরেনজিং এবং সেরেনিকে যেমন করে নোরেং মাসি আশ্রয় দিয়েছেন, তেমন করে ওয়ালজানও আশ্রিত। পরের গল্পটা প্রণয়ের
পাহাড়ি পালা সেরেনজিং নিয়ে তথ্যগল্প তৈরি করেছে ট্রাভেলাইফ। গল্পগুলো পরিচালনা করেছেন মশিউর রহমান কায়েস। প্রযোজনা করেছেন আহসান সজিব। এতে সেরেনজিং চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফাংশ্রী (ফাতেমা) রংদী। সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন আনন্দ সরকার। ওয়ালজান চরিত্রে অভিনয় করেছেন দুরন্ত মান্দা। নোরেং মাসি চরিত্রে প্রতিভা রংদী।
সেরেনজিংকে আরো জানতে :
নোরেং মাসির বাড়িতে বিয়ের বাদ্য